Health Anxiety, August Article: 2025

Blog Post- 01

Title: Health Anxiety

A fevered and scattered thoughts in Language, Identity & Discrimination through a anxiety full night.

3:42, 6th August, 2025


What a difficult task it is, to sit down with immense pressure of patience and try to write something on a thin layer of wooden pulp (maybe) by continually stroking with a water-based, black-colored xanthan gum ink! Ashes শুনলাম, Bayaan শুনলাম, তারপর Mozart D-minor, Requiem Aeternam. যদিও Mozart এ আমি নতুন, রাতে প্রায়, প্রায় বললে ভুল হবে, সর্বসময়, গান বাজিয়ে ঘুমিয়ে অথবা না ঘুমিয়ে Night Suffer করার অভ্যাস। অর্থাৎ সেই স্কুল আমল থেকে, প্রায়ই গানগুলো একের পর এক শাফল হতে থাকলে শান্তির ঘুম হয়। “হয়” শব্দটা ব্যাকরণিক কারণে এখানে মানানসই না; “হতো” হবে। ৩- বা ৪ মিনিট হবে। এখন কোন গান বা সঙ্গীত – উপস্থাপন হচ্ছে না। Speaker এর Pause Button দিয়ে শিল্পীদের থামিয়ে দেওয়া যায়, চাইলেই একই performance পুনরাবৃত্তিও করানো যায়।

বাংলা লিখছি কত বছর পর! মানে কাগজে-কলমে, এক পাতার অর্ধেকাংশ বাংলা, শেষ ঠিক কবে লিখেছি মনে নেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চাহিদা এমন একটি বিভাগে ভর্তি হওয়া, যেখানে বাংলার ব্যবহার খাতার উপরে নেই। ইংরেজি ভাষায় পড়াশোনা না করলে ক্যারিয়ারে বাধা পেতে হবে অনেক। ইংরেজি ভাষায় পড়া বিভাগ ও বিষয়ের শিক্ষার্থীদের CV বা বৃত্তান্ত অনেক শক্তপোক্ত হয়। ফার্স্ট ইয়ারের বাধ্যতামূলক বাংলাদেশ ও ইতিহাস কোর্সে “ভাষা আন্দোলন” নিয়ে পরীক্ষায় Article লিখেছিলাম English এ। স্কুলের ভাষা আন্দোলনের উপর বিভিন্ন প্রবন্ধ, গদ্য, পদ্য ও সমাজ বইয়ের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস আর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ১ম বর্ষ, ২য় সেমিস্টার বা ২য় অর্ধ-বার্ষিকী তে (বাংলা-করণ করলাম, কিন্তু semester শব্দের একটি শব্দে অর্থ বোঝানোর মত বাংলা শব্দ খুঁজে পেতে খুবই কষ্ট হলো) — ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের মধ্যে বিশাল পার্থক্যটা হলো এই, যে “মায়ের মুখের ভাষা” কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এত বিসর্জন, প্রাণের ও শ্রমের বিসর্জন, সেই ত্যাগকে English words দ্বারা baptized করে সাদা খাতার ওপর ছেপে দেওয়ার মাধ্যমে Cumulative Grade point এ ইতিহাস কোর্সে ৩.৫০ আউট অফ ৪.০০ পাওয়া। Bangladesh Liberation History কোর্সের নাম ছিল হয়তো। সরাসরি  “ইতিহাস অনুবাদ”, অথবা “ইংরেজি অনুবাদকরণ শিক্ষা” নাম রাখলে হয়তো হাস্যকর দেখাতো? যে university তে এসে শিক্ষার্থীরা অনুবাদ করণ শিখছে?


আমার মাথায় অযথা, আদরকারী, অহেতুক, ‘স্বাধীনতা বিরোধী’, ‘শহীদদের প্রতি অসম্মানজনক’ (কারও, কারও মতে) একটি প্রশ্ন আসে। যে, সালাম কি আদৌ জানতো? যে, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করণের পক্ষে প্রতিবাদ করতে গেলে, ধারা ভঙ্গ করলে, জীবন খোয়াতে হবে? সেকালে ফেসবুক ছিল না বিধায় জানা গেল না যে মিছিলে যাবার আগে সকলের উদ্দেশ্যে কোন প্রাণ ত্যাগী, বিসর্জনমূলক, অনুপ্রেরণামূলক শব্দরাশি কাউকে বলে, বা কোথাও লিখে গিয়েছিলো কিনা। ভাষা নিয়ে Poland, Spain, England এর Ireland-এ এর আগে আন্দোলন-প্রতিবাদ হলেও তাদের মধ্যে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারদের অনুপস্থিতি বিদ্যামান। তাই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ শে ফেব্রুয়ারি। এরপরেও কখনো কোথাও ভাষার স্বাধীনতা নিয়ে আওয়াজ তুলে কেউ শহীদ হলো না। তাহলে তৎকালীন পাকিস্তানের শীর্ষ নেতৃত্ব বৃন্দের গোঁড়ামি, অতি-ধর্মান্ধতা, ভারত- বিদ্বেষী মনোভাবের প্রভাবের ফলে দূষিত সিদ্ধান্ত প্রনয়নের মাধ্যমে এই বিশেষ সম্মাননা, স্বীকৃতি আমাদের হল? আহমদ ছফার মতে, scientific revolution সারা পৃথিবীব্যাপী ছড়ালেও বাংলাভাষী scholar দের অবদান কম বা নেইতুল্য হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল, ভাষাগত ব্যারিয়ার। বাংলা ভাষায় যুতসই ও যথেষ্ট শব্দকোষ নেই যা বিজ্ঞানীদের চিন্তা ও উদ্ভাবন বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের মাঝে বোধগম্য ও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম হবে। আর বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় তা স্বতঃস্ফূর্তভাবে উল্লেখযোগ্য। Neuroplasticity এর বাংলা কি? Quantum entanglement? Epigenetics? Blockchain? Nano technology?; ক্ষুদ্র প্রযুক্তি? Ha ha ha.


ব্যাখ্যা এই নয় যে, উচ্চ IQ সম্পন্ন, মেধাবী, রুচিসম্মত, বুদ্ধিমান তরুণ ও যুবক বাংলাদেশে জন্মায়নি, বা বাংলাভাষী কেউ ছিল না (largely speaking). ঘটনা হলো, ভাষা প্রীতির এক অন্যরকম অদ্ভুত ব্যারিয়ারের কারণে মানুষ ভাষাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মর্যাদা দেবার প্রয়োজন বোধ করেছিল ঠিকই কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন jargon আয়ত্ত করার জন্য বাংলা ভাষায় নতুন শব্দ ও অর্থ তালিকাভুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে নি, অনুভব করলেও, সে অনুভূতির জন্য যেটুকু মানসিক শ্রম দরকার — সেই শ্রম দেবার মত Determination (দৃঢ় সংকল্প) কেউ বুকে ধারণ করে নি? এ কাজের জন্য হয়তো শহীদ হওয়া লাগতো না, অন্তত। সংগীত ও সাহিত্যে মনোনিবেশ করা তার চেয়ে সহজ ও হাতের নাগালে ছিল হয়তো। সাহিত্য ও সংগীতে চরম-মাত্রার মেধাবী, জ্ঞানে ও উচ্চমাত্রার দর্শন সমৃদ্ধ বাংলাভাষী মানুষের Trace পাওয়া যায়।
জয়নুল তার মেধা সকলের সামনে কিভাবে প্রকাশ করতো, যদি চিত্রকলা ক্যানভাসে রং আর তুলির আঁচড়ে — প্রকাশ করার পদ্ধতি না হয়ে ল্যাটিন, গ্রিক অথবা ইংলিশ শব্দ-বর্ণের মাধ্যমে প্রকাশ করা rules & norms হতো। Would he be that fluent as he was? অনর্থক প্রশ্ন মনে হতে পারে।

ভাষা আন্দোলনের অন্যতম একটি কারণ, শুধু অন্যতম নয়, খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রধানতম কারণ, ছিল এই যে, শিক্ষা, চাকরি, রোজগারের উপযোগী হওয়ার জন্য আরেকটি ভাষা আয়ত্ত করার প্রয়োজন হয়ে পড়তো। কিছুটা একই রকম প্রয়োজনীয়তা ২০২৪ এও শিক্ষার্থীরা অনুভব করে, যখন চাকরি, বিদ্যা, রোজগারের উপায় আয়ত্ত করার সহজ মাধ্যম ছিল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে জন্মগ্রহণ করা। It was all about to be able to earn and so that one could be competent to get food for living. Yes! ‘Food’ it was.

বাংলা ভাষা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না পেলে অর্থনৈতিক মারপ্যাঁচে দেশের এক বিশাল জনগোষ্ঠী “বেকারত্ব” শব্দের আভিধানিক ও দার্শনিক অর্থ যা দাঁড়ায়, তার জন্য এক নতুন ধরনের খাদ্য সংকট, তথাপি দুর্ভিক্ষ দেখতে হতো। বাংলা ভাষাহীন ক্রেতা ভিত্তিক হার্ট বাজারের সমাগম হতো। পশ্চিমা-বিশ্বে Blacks দের অবস্থান আর এই বিশ্বের বাংলাভাষী মানুষের অবস্থানের মিল এখানেই। খাদ্যাভাবের কারণে ক্রীতদাস-করণের সে ইতিহাস তাদের জ্ঞ্যান ও আদ্ধাত্নিকতার ক্ষুধা অনুভব করার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, যার কারণে দাম্ভিক সুরে কতিপয় whites বলার সুযোগ পেয়েছিল, “Whites are more intellectual and thus superior than that of Blacks.”


একই রকম ভাবে, বাংলাভাষী — (বিশেষ করে পূর্ববঙ্গের মানুষের) ঐতিহাসিক ভাবেই উপার্জন সক্ষমতা, যা মূলত ঔপনিবেশিক শাসন আমলের বহু আগে থেকেই, সেই… ঠিক দিল্লি যখন রাজধানী ছিল, সেই আমল থেকে রাজা-মহারাজারা কমিয়ে এনেছিল। সোনার ফসল ফলে যে কৃষকদের ঘরে, সেই যদি অভুক্ত থাকে; তার ছেলের দর্শন, সাহিত্য, বিজ্ঞান, নক্ষত্র চর্চার ইচ্ছা জন্মাবে কখন? যে কারণে পশ্চিম বাংলাভাষী elite সম্প্রদায়ের brothel মালিকও চাষাভুষাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবার বিষয়ে নারাজ ছিলেন। অথচ তিনিও ইংরেজি কে পূজা করে, তার কাব্য ‘Baptized’ করে বাঙালির চোখে শ্রদ্ধার পাত্র হয়েছেন।

সত্য হল, বাংলাভাষী (as a whole) এবং পরবর্তীতে পূর্বাঞ্চলীয় বাংলাভাষী মানুষেরা, উভয়ই, তিব্র ভাষাগত বৈষম্য এবং বর্ণবাদ বৈষম্যের শিকার এই গোটা ভারতীয় উপমহাদেশে! মজার বিষয় হল যে, তারা নিপীড়িতদের দ্বারা নিপীড়িত!

শারীরিক ও মানসিক পরিস্থিতি খারাপ বিধায় এই লিখতে বসা হয়েছিল। জ্বর ও ঠান্ডা। কত ডিগ্রি তা মেপে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করিনি। খাতায় কলম দিয়ে ঘষা-মাজা করা আরম্ভ করেছিলাম। জ্বর এখন কিছুটা কমতির দিকে, শরীর ভীষণ ক্লান্ত, কাজেই ভোর ছয়টায় এ লেখার ইতি টানবার জন্য কিভাবে লিখতে হবে; এ বিষয় আর বোধগম্য নয়।  আর, ওপরে যা কিছুই লিখেছি, তাতে এক বিক্ষিপ্ত সুর থাকতে পারে; হয়তো back and forth, and scattered thoughts, লিখা হয়েছে। Which bear no value. কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হবার ইচ্ছা প্রকাশ করিনি যতদূর ঠাহর করতে পারছি, শুধু প্রশ্ন করেছি, and maybe just drew the line. That’s all.

Thanks,

R

On Wed, 06:06, 27°, 2025, Home.

Writer: Ferdous Islam Rafi

Editor: Jaber Islam Akash, Jakia Sultana

08/08/2025, Dhaka, Bangladesh

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top